ডেক্স নিউজ : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহিদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
সিপিবি নেতাকর্মীদের দাবি, সমাবেশ চলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ওলামা লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশও হামলা চালায়। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কার্য্যকরি কমিটির সদস্য দিবালোক সিংহ, জেলা সিপিবির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি স্বপন চৌধুরী, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় তালুকদারসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিকালে উপজেলা সিপিবি সমাবেশের আয়োজন করে। নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহিদ মিনারে যান।
সেখানে সমাবেশ শুরু হলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, ওলামা লীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশ বন্ধ করতে বলেন। তা না করায় তারা সিপিবির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশও তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলার শিকার সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ডাঃ দিবালোক সিংহ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ওলামা লীগসহ সরকারি দলের লোকেরা সমাবেশস্থলে হামলা করে। এ সময় কলমাকান্দা থানার ওসির উপস্থিতিতে পুলিশও আমাদের লাঠিপেটা করে। এতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, আমি সহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সিপিবির নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করছিল। তাই আমরা তাদের নিষেধ করেছি। তবে তাদের ওপর কোনো হামলা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, সরকারি দল ও সিপিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।