নিউজ ডেক্স : বাংলার গৌরবোজ্জ্বল কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোড়িত ও বিস্ময়কর আন্দোলন হচ্ছে- তেভাগা আন্দোলন। বস্তুত তেভাগা আন্দোলন ছিল অনেকগুলি আন্দোলনের সমষ্টি। তেভাগা আন্দোলনের দুটি সুনির্দিষ্ট স্তর ছিল। প্রথমটি ১৯৩৬-১৯৪০ এবং দ্বিতীয়টি ১৯৪৬-১৯৪৮ পর্যন্ত। প্রথম পর্যায় আন্দোলনসমূহের ভিত্তি নির্মাণ হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায় সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে লড়াকু আন্দোলন তৈরি হয়েছিল- তেভাগা চাই। তেভাগা আন্দোলনের প্রধান দাবী ছিল তিন ভাগের দুই ভাগ ফসল কৃষকের আর এক ভাগ মহাজনের।
এ আন্দোলন বাংলার ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। আন্দোলনের প্রধান এলাকা ছিল- রংপুর, দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলা আর ২৪ পরগনা জেলার আবাদ এলাকা। কৃষকদের পাশাপাশি ক্ষেতমজুররাও এ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি। গোটা বাংলায় প্রায় ৬০ লক্ষ কৃষক অংশ নিয়েছিলেন তেভাগা আন্দোলনে। তেভাগার লড়াই সংগ্রামে অসংখ্য কৃষক-ক্ষেতমজুর নিহত হন।
তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইগুলো অধ্যয়ন করলে তেভাগার সমগ্র ইতিহাস জানা সম্ভব। কিন্তু সব বই সংগ্রহ করা পাঠকদের জন্য সম্ভবপর নয়। তাই সমাজ পরিবর্তনের লড়াকু তরুণপ্রজন্ম ও পাঠকদের কথা চিন্তা করে যতদূর সম্ভব একটি বইয়ে তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ‘তেভাগা আন্দোলন’ সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ করে বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা।