দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের লড়াই সংগ্রাম ও অধিকার আদায়ের দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)। এই পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় টঙ্ক শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ চত্বরে জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন এবং পৌর শহরে এক বিশাল লাল ঝান্ডার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে সিপিবি উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোরশেদ আলম এর সঞ্চালনায়, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীর এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিপিবি নেত্রকোণা জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড নলিনী কান্ত সরকার। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা সাধারন সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সিপিবি উপজেলা নেতা কমরেড সামছুল আলম খান, নারী নেত্রী হেনা বেগম, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাসুদ খান, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি মালেক সরকার, ক্ষেতমজুর সমিতির আহবায়ক রহম আলী, উপজেলা যুব ইউনিয়ন সভাপতি নজরুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ রফিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ সিপিআই-এর দ্বিতীয় কংগ্রেসে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা ভিন্ন একটি অধিবেশনে মিলিত হয়ে স্বতন্ত্রভাবে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি এবং একই সঙ্গে পার্টির পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিটির ৪র্থ সম্মেলনে পৃথক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন পার্টি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম শুরু করে আর সে থেকে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম চলে আসছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মার্কসবাদী, লেনিনবাদী রাজনৈতিক দল। এ পার্টি অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির উত্তরাধিকার বহন করে। ভারত বিভাজনের পর ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ এ দল পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্যকে সামনে রেখে জন্মলগ্ন থেকেই এ পার্টি আপোষহীনভাবে অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ পার্টির বীরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রায় ১৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। এ পার্টির কিংবদন্তি নেতা কমরেড মণি সিংহ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন।
Leave a Reply